চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে দুঃসাহসিক লুঠপাট। ভরদুপুরেও ঘটে গিয়েছে এই ধরনের লুঠপাটগুলি। এমনকি সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মূল্যবাণ সোনার চেন নিয়ে চম্পট দেয় ২০ জনের দল। অভিযোগ, ৪০০ গ্রাম সোনার চেন ভয় দেখিয়ে নিয়ে নেয়। এই দুটি ঘটনা শহরের বুকে ঘটার পরই বাড়তি উদ্যোগ নিল লালবাজার।
প্রসঙ্গত, শহরের ব্যস্ততম ব্যবসা–বাণিজ্যের এলাকা পোস্তা বড়বাজার। এই এলাকায় আগেও এমন বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল। এটাই বর্তমানে লালবাজারের একটি অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ কাজ শুরু করলেও ভিড়ের মধ্যে মিলিয়ে যাচ্ছে আততায়ীরা। ফলে তাদের ধরা কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তাই এলাকায় বাড়তি নজরদারি করার পদক্ষেপ নিয়েছে লালবাজার। পোস্তা এবং বড়বাজার থানা এলাকার মোট ৪০টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এই স্পর্শকাতর জায়গায় মোট ৮৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো বলে লালবাজার সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে, নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, খান্না, গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট–সহ নানা জায়গায় বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। বিভিন্ন এলাকায় ক্যামেরা বসানো নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার। মহাত্মা গান্ধী রোড, কটন স্ট্রিট, ক্যানিং স্ট্রিট, সোনাপট্টি এমন বহু জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৮৫টি ক্যামেরার মধ্যে পোস্তা থানা এলাকার ১৬টি জায়গায় ৫৩টি লাগানো হবে। এই কাজে খরচ হবে ২০ লক্ষ টাকা। বড়বাজারের ১৬টি জায়গায় ৩২টি নতুন ক্যামেরা লাগানো হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন এলাকায় লাগানো ক্যামেরাগুলিতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। টানা ২১ দিনের ফুটেজ সংরক্ষণ করা যাবে ক্যামেরার স্টোরেজে। আগেও এই এলাকায় বড় অঙ্কের টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। যার তদন্ত করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তাই থানার সঙ্গে এইসব নতুন ক্যামেরার ফুটেজ দেখার জন্য গোয়েন্দা বিভাগকেও ‘লাইভ ফিড’ দেওয়া হবে।







