রবিবার গভীর রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড খিদিরপুর বাজারে। এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে প্রায় শতাধিক দোকান। তবে এই নিয়ে এবার শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় কাউন্সিলর বলছেন, দোকান পুড়েছে ৪০০টি। অপরদিকে স্থানীয়দের দাবি, ১৩০০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর দাবি, এই সব দোকানের মধ্যে অধিকাংশই বেআইনি। এদিকে যে খিদিরপুরে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকার বিধায়ক হলেন ফিরহাদ হাকিম। এই পরিস্থিতিতে ফিরহাদের এলাকার বাজারে শতাধিক বেআইনি দোকান থাকা নিয়ে সুজিতের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে পারে সরকারই। এদিকে কী কারণে ঘটল এই অগ্নিকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
একদিকে দমকলমন্ত্রী বেআইনি দোকানের দাবি করেছেন। অপরদিকে, দমকলমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন সকালে স্থানীয়দের বচসা হয়। দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করেন, আগুনের বিষয়ে জানানোর অনেক পরে দমকল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। এদিকে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেছেন, ‘ফিরহাদ হাকিম সকালে ফোন করেছিলেন। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা, আগুন নেভাতে তাই সমস্যা হচ্ছে। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন কাজ করছে। জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কুলিং, পকেট ফায়ারগুলি নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখন। এখানে অনেক দোকান নিয়ম মেনে ঠিকভাবে তৈরি করা হয়নি।’
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে চিন্তায় পড়েছে বহু মানুষ। এই আগুনের জেরে বাজারের দোকানদারদের বিশাল ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে অভিযোগ উঠছে, খিদিরপুর বাজারে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল বিভিন্ন দোকানে। এর জেরেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং শতাধিক দোকান এতে পুড়ে যায়। এদিকে দমকলমন্ত্রীও দাবি করেছেন, বাজারের বহু দোকানই নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বানানো ছিল। এই আবহে সরকার কাদের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন দেয়, সেই নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই কারও।







